ডাঃ নয়ন সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম না মানার অভিযোগ

 ডাঃ নয়ন সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম না মানার অভিযোগ

 মোঃ দেলোয়ার হোসেন : পটুয়াখালী সদরে চিকিৎসক হিসাবে সরকার প্রদত্ত দায়িত সঠিক ভাবে পালন না করে বাউফল উপজেলার বিভিন্ন ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে নিয়মিত চিকিৎসা ও সিজারিয়ান অপারেশন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পটুয়াখালী সরকারি সদর হাসপাতলের চিকিৎসক নয়ন সরকারের বিরুদ্ধে।
সরকার কোভিড-১৯ মহামারির জন্য জরুরি ভিত্তিতে সারা দেশে দুই হাজার সরকারিি চকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন, ডা: নয়ন সরকার,পিতা সুকৃতি সরকার,পাইকগাছা,খুলনা, গত ১২ জুন ২০২০ পটুয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আইএমও হিসাবে  যোগ দিয়েছেন। সরকারি নীতি মালা অনুযায়ী আইএমও কর্মস্থালে অবস্থানের নিয়ম থাকলেও ডাঃ নয়ন সরকার পটুয়াখালী জেলা সদর থেকে প্রায় ৫৫ কি: মি: দূরত্বে বাউফল উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নে অবস্থান করছেন ও কালিশুরি বন্দরে নিউ লাইফ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মেডিকেল হল, কুমার খালীবাজার ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের কাকরধা বাজারে রীতিমত সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে কালিশুরি বন্দরে মাজেদা ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার, বাউফল নিউ হেলথ কেয়ার ডায়াগনিষ্টিক এন্ড  ক্লিনিক সেন্টার সেবা ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার,কালাইয়া সাহেদা গফুর ইব্রাহিম মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন করছেন।
সরকারের নির্দেশনায় নরমাল ডেলিভারীকে প্রাধান্য দেওয়ার নির্দেশ থাকা সত্বেও অভিযোগ পাওয়া গেছে, কোভিড-১৯ এরজন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তার নয়ন সরকার সরকারি কোন নিয়ম কানুন তোয়াক্কা না করে বাউফল উপজেলার বিভিন œক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে টাকার বিনিময়ে প্রতিদিন শতভাগ গর্ভবতী নারীর সিজারিয়ান অপারেশন করছেন। এতে সরকারের ঘোষিত নরমাল ডেলিভারী নিশ্চিতকরণে গৃহীত কর্মসূচি ও পরিকল্পনাকে অসম্মান করছে এবং টাকার পিছনে হন্নে হয়ে ঘুরছে।
জানা গেছে গত ১৩/০৬/২০২০তারিখে জনৈক গর্ভবতী (২০) নারীকে সিজারিয়ান এর প্রয়োজননা থাকলে ও অপারেশন টেবিলে সিজারিয়ান এরজন্য প্রস্ততি চলাকালীন তিনি স্বাভাবিক ভাবে বাচ্চা প্রসব করেন। এ ছাড়াও সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে তিনি গ্রামীণ মানুষের মাঝে কভিড-১৯ ছড়ানোর ঝুঁকি সৃষ্টি করছেন।
এব্যাপারে ডাক্তার নয়নসরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মাসে রোস্টারের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে থাকি। পটুয়াখালী কর্মস্থলে রোস্টারে দায়িত্ব পালন করে দিনের বেলা বাউফল কালিশুরিতে চিকিৎসা দিয়ে থাকি। অফিস চলাকালিন সময় কর্মস্থল ত্যাগ করে জেলার বাহিরে গিয়ে চিকিৎসা দিতে পারবে কিনা প্রশ্ন করলে সঠিক উত্তর না দিয়ে এরিয়ে যান।  
এবিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ডাক্তার করোনা ইউনিটের জন্য নিয়োগ প্রাপ্ত হলে কর্মস্থালের বাহিরে গিয়ে কোন চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেনা। যদি করোনা ইউনিট ছাড়া নিয়োগ হয় তা হলে অফিস চলাকালিন সময় দায়িত্ব না থাকে তাহলেও বাহিরে চিকিৎসা দিতে পারবেনা, সরকারি ছুটি ব্যতীত ।
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডাক্তার  মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,ডাক্তার নয়ন সরকার সদরের বাহিরে যেয়ে চিকিৎসা দেয় তা তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।